শিশু সার্জারি বিশেষজ্ঞ ও শিশু সার্জারির প্রয়োজনীয়তা
একজন সার্জারি বিশেষজ্ঞ হলেন যিনি অপারেশন বা অস্ত্রোপাচার করতে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপাপ্ত। আর শিশু সার্জারি বিশেষজ্ঞ হলেন পেডিয়াট্রিক সার্জন যারা শিশুদের বিভিন্ন জন্মগত ত্রুটি, গুরুতর অসুস্থতা বা দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত হলে অস্ত্রোপাচার করে থাকেন।
এক কথায়, শিশু সার্জারি বিশেষজ্ঞ শিশুদের অপারেশন করে থাকেন।
অন্যদিকে, শিশু সার্জারি বা পেডিয়াট্রিক সার্জারি হলো শিশুদের জন্মগত বা জন্মের পরে হওয়া শারীরিক সমস্যা, রোগ বা আঘাতের চিকিৎসার জন্য করা বিশেষ ধরনের অপারেশন। ভ্রূণ অবস্থায় থেকে শুরু করে কিশোর বয়স পর্যন্ত শিশুদের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব সমস্যার সমাধান করতে অনেক সময় অস্ত্রোপচার অপরিহার্য হয়ে ওঠে।
শিশু সার্জারি শুধু জীবন বাঁচাতেই নয়, বরং শিশুকে সুস্থভাবে বড় হতে এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে সাহায্য করে। তাই অনেক ক্ষেত্রেই এটি শিশুর ভবিষ্যৎ সুস্থ জীবনের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
কেন শিশু সার্জারি প্রয়োজন?
অনেক শিশু জন্মের সময় হার্টের ছিদ্র বা পেটের গঠনজনিত সমস্যাসহ ভূমিষ্ট হয়। হাড়, স্নায়ু বা শরীরের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে সমস্যা হলেও তা সার্জারির মাধ্যমে ঠিক করতে হয়। আবার কোন কোন সময় শিশু জন্মের পর মলদ্বার যথাস্থানে থাকে না, তখন সার্জারি করতে হয়।
নবজাতকের পায়খানা দেরিতে হলে, বা পেট ফোলা হলে বা পায়খানার সাথে রক্ত গেলে, লম্বা সময় ডায়রিয়া-যার কারণে ওজন কমে যাওয়া, পেটের স্থায়ী ব্যথা, মলদ্বারে অস্বাভাবিক নিঃসরণ হলে সার্জারি করতে হয়।
কোন কোন সময় জন্মের পর পর নবজাতকের শ্বাস কষ্ট জনিত সমস্যা থাকে। তখন সার্জারি করতে হয়।
শিশুদের এপেন্ডিসাইট, পিত্তথলিতে পাথর, হারনিয়া , অণ্ডকোষ না নামা ইত্যাদি সমস্যায় সার্জারি করা প্রয়োজন হয়।
কখনো শিশুর নিউরো সার্জারির প্রয়োজন হয়। যেমন মাথা বড় হয়ে গেলে বা মেরুদন্ডে, পিঠে টিউমার হলে।
কিছু শিশুর জন্মগতভাবে পা বাঁকা, আঙুল বেশি বা জোড়া আঙুল হলে অর্থোপেডিক সার্জারী প্রয়োজন হয়।
শিশুরা খেলাধুলা বা দুর্ঘটনায় গুরুতর আঘাত পেতে পারে, তখন দ্রুত অস্ত্রোপচার দরকার হয়।
শিশুদের মধ্যেও ক্যান্সার হতে পারে, যেখানে অস্ত্রোপচার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কিছু জটিল সংক্রমণ শুধু অপারেশনের মাধ্যমেই নিরাময় সম্ভব।
কেন সাধারণ সার্জারি থেকে শিশু সার্জারি আলাদা
শিশুদের সার্জারি করা বেশ চ্যালেঞ্জ এর একটি কাজ। কারণ তাদের রোগ বা তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপত্র, সার্জারি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক রোগীর চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। শিশুদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বেশ সংবেদনশীল হয়ে থাকে, তাদের শরীর ও রোগের ধরন প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে ভিন্ন হয়, এবং তাদের মানসিক অবস্থাও আলাদা। তাই তাদের সার্জারি করার সময় বিশেষ জ্ঞান, দক্ষতা ও সতর্কতার প্রয়োজন হয়।
শিশু সার্জারি আলাদা হওয়ার কারণগুলো-
শিশুদের শারীরিক গঠন বড়দের চেয়ে আলাদা। তাদের শরীর অপরিণত ও দুর্বল থাকে। তাই শিশু সার্জারি বড়দের সার্জারি থেকে ভিন্ন হয়।
শিশুদের সার্জারি করার জন্য আলাদা প্রশক্ষণ ও দক্ষতা প্রয়োজন। যেন নবজাতক থেকে শুরু করে কৈশোর পর্যন্ত তারা সঠিক ও নিরাপদ চিকিৎসা পেতে পারে।
শিশুদের শারীরিক গঠন ছোট ও দুর্বল থাকে, তাই তাদের আলাদা প্রতি আলাদা সতর্কতা দরকার।
কিছু রোগ রয়েছে যা প্রাপ্ত বয়স্ক থেকে আলাদা বা একই হলেও এর চিকিৎসা ও সার্জারি ভিন্ন হয়।
শিশুরা ছোট হওয়ায় তাদের মানসিক অবস্থা এবং অসহযোগিতার কারণে সার্জারি পরিচালনা করা কঠিন হতে পারে।
শিশুদের জন্য সঠিক ডোজ ও ধরনের অ্যানাস্থেসিয়া নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তাদের শরীরে ওষুধের বিপাক প্রক্রিয়া প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে আলাদা।
কখন শিশু সার্জারি বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া উচিত
প্রতিবার খাবারের পর বমি করা,
সবুজ বা লাল রঙের বমি হওয়া,
পায়ুপথ তৈরি না হওয়া বা স্বাভাবিক স্থানে না থাকা,
জন্মের দুই দিনের মধ্যে সবুজ পায়খানা না হওয়া,
জন্ম থেকেই জন্ডিস থাকা
কাঁদামাটির মতো পায়খানা হওয়া।
ফোঁটায় ফোঁটায় প্রস্রাব করা,
কোঁৎ দিয়ে প্রস্রাব করা,
নাড়িভুঁড়ি পেটের বাইরে থাকা
মেরুদণ্ডের টিউমার ফেটে পানি বের হওয়ার
এসব ক্ষেত্রে এক মুহূর্তও দেরি না করে অবশ্যই শিশু সার্জারি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে শিশুর জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয় এবং সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ তৈরি হয়। শিশুদের সমস্যা কোন ভাবেই অবহেলা করা more info উচিত নয়, বরং প্রতিটি শিশুর বেড়ে উঠার উপর নজরদারি রাখা উচিত।
শিশু সার্জারি বিশেষজ্ঞ রাজশাহীঃ ডাঃ আবদুল্লাহ আল মামুন
আপনি কি রাজশাহীতে একজন শিশু সার্জারি খুঁজছেন ? যদি আপনার বা আপনার পরিবারের শিশুর যে কোন সমস্যায় দেখা করতে পারেন ডাঃ আবদুল্লাহ আল মামুন স্যারের সাথে।
ডাঃ আবদুল্লাহ আল মামুন, এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমএস (শিশু সার্জারি) ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং ইংল্যান্ড থেকে MRCS (পার্ট-বি) সম্পন্ন করেছেন। নবজাতক, শিশু সার্জারি এবং শিশু ইউরোলজির ক্ষেত্রে তাঁর বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও আধুনিক চিকিৎসা জ্ঞানের সমন্বয়ে তিনি অসংখ্য জটিল অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী-তে কর্মরত থেকে শিশুদের জন্য বিশেষায়িত সার্জারি সেবা প্রদান করছেন। গবেষণা ও প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসার প্রতি তাঁর আগ্রহ তাঁকে একজন নিবেদিতপ্রাণ চিকিৎসক হিসেবে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে।
ডাঃ আবদুল্লাহ-আল-মামুন একজন নিবেদিতপ্রাণ ও দক্ষ পেডিয়াট্রিক সার্জন। তার সেবা গুলো হলো-
পেডিয়াট্রিক সার্জারি,
পেডিয়াট্রিক ইউরোলজি,
নবজাতক সার্জারি,
পেডিয়াট্রিক কোলোরেক্টাল সার্জারি,
পেডিয়াট্রিক টিউমার সার্জারি,
পেডিয়াট্রিক নিউরোসার্জারি,
পেডিয়াট্রিক ল্যাপারোস্কোপি
পেডিয়াট্রিক সিস্টোস্কোপি,
জন্মগত অস্বাভাবিকতার জন্য কসমেটিক সার্জারি ইত্যাদি
উপরে উল্লেখিত বিষয় সমূহে বিশাল অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং আল্লাহর রহমতে তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা ও অসাধারণ দক্ষতার মাধ্যমে শত শত সফল অপারেশন সম্পন্ন করেছেন। চলমান গবেষণা এবং প্রমাণ-ভিত্তিক চিকিৎসা অনুশীলনের মাধ্যমে তিনি শিশুদের সর্বোত্তম অস্ত্রোপচার সেবা দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ডাঃ আব্দুল্লাহ-আল-মামুন যশোরে জন্মগ্রহণ করেন। তার যোগ্যতা গুলো-
এসএসসি (পুলিশ লাইন স্কুল)
এইচএসসি (যশোরের ক্যান্টনমেন্ট কলেজ)
এমবিবিএস (রাজশাহী মেডিকেল কলেজ-২০১৫সালে)
শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে, যা পূর্বে ঢাকা শিশু হাসপাতাল নামে পরিচিত ছিল, এমএস রেসিডেন্সি কোর্সে ২০১৬ সালে যোগদান করেন।
তিনি তার কর্মজীবন জুড়ে বিএসএইচআই-তে তার কাজ এবং রোগীদের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। এমএস রেসিডেন্সি চলাকালীন ডাঃ মামুন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) যোগদান করেন এবং বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা প্রদান করেন। ডাঃ মামুন তার একাডেমিক এবং গবেষণা দক্ষতার সাথে আপ টু ডেট ছিলেন, যার ফলে তিনি ২০২৩ সালে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএসএইচআই থেকে পেডিয়াট্রিক সার্জারিতে এমএস ডিগ্রি অর্জন করতে সক্ষম হন। তিনি যুক্তরাজ্যের রয়েল কলেজ অফ সার্জনসে এমআরসিএস ওএসএস-এর জন্যও পড়াশোনা করছেন। এখন তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত এবং নিয়মিত শত শত চ্যালেঞ্জিং অপারেশন করেন। তিনি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন এমন শিশুদের জন্য আউটডোর সার্ভিস বজায় রাখেন। ডাঃ মামুন এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের পড়াতে পছন্দ করেন, আরএমসিএইচ-তে এফসিপিএস এবং এমএস প্রশিক্ষণার্থীদের পরামর্শদাতাও।
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এই ব্যক্তির ব্যতিক্রমী ইতিহাস রয়েছে, যেমনঃ
তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অসংখ্য প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন এবং
অত্যন্ত সম্মানিত গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বাংলাদেশ শিশু সার্জন সমিতির (APSB) সদস্য হিসেবেও মর্যাদাপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০২৫ সালে তিনি বাংলাদেশে অস্ত্রোপচারের চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের আধুনিক অস্ত্রোপচার সেবা প্রদানের জন্য “শিশু সার্জারি কেন্দ্র” প্রতিষ্ঠা করেন।
এই সংস্থার লক্ষ্য বাংলাদেশে শিশু সার্জারির অবকাঠামো এবং মানবসম্পদ উন্নত করা। তার লক্ষ্য হলো দেশের প্রতিটি শিশুর জন্য সর্বশেষ অস্ত্রোপচার সেবা নিশ্চিত করা।
কেন যাবেন ডাঃ আবদুল্লাহ আল মামুনের স্যারের কাছে?
নবজাতক, শিশু সার্জারি ও শিশু ইউরোলজিতে উচ্চতর ডিগ্রি (এমএস, এমআরসিএস) অর্জন করেছেন।
জটিল ও চ্যালেঞ্জিং শত শত অস্ত্রোপাচার সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন।
সর্বশেষ বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে চিকিৎসা প্রদান করেন।
শিশুদের জন্য আলাদা চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগে অত্যন্ত যত্নবান ও মনোযোগী।
অভিভাবক ও রোগীর আস্থা অর্জনই তাঁর মূল লক্ষ্য।
বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত থেকে সহজেই সেবা পাওয়া যায়।
চেম্বার
চেম্বার নং ১ চেম্বার নং ২
পপুলার ডায়াগস্টিক সেন্টাররুম নং- ৯২২, ৯ম তলা, ভবন-১
হোল্ডিং নং-৬১৭, লক্ষীপুর, রাজশাহীপ্রতিদিন দুপুর ৩টা থেকে রাত্রী ৮টা।মোবাইলঃ 01623-38-1973 শিশু সার্জারী সেন্টার
রাজশাহী জেনারেল হাসপাতাল
ঝাউতলা মোড়, লক্ষীপুর, রাজশাহীমোবাইলঃ 01623-38-1973